বুধবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

পাশে থাকিস

পাশে থাকিস......
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
>>>ম্যাজিশিয়ান কাজী<<<
দুঃখের চাদরে বসত করি, সুখের দরকার কি...?
মনের সাথে মন মানাবো, স্বপ্নের দোষ কি.....!
স্বপ্ন যত মিথ্যে হউক! তবু লাগে তারে ভালো,
রাতের আধার দূরাতে এলো, সেই চাঁদনী আলো।
স্বপ্ন দেখতে নাইকো বারণ, লাগেনা কারো দয়া,
লাগে শুধু মনের মাঝে বিশ্বাসী তারার মায়া।
স্বপ্ন কারো ক্ষত করে না, করে মনের প্রশান্তি,
ভুল ভ্রান্তি জব্দ করে দেয় হ্রদয়ের সুখ বন্দি!
স্বপ্ন তুই মনের শান্তি,তুই নক্ষত্রেশ আশার আলো,
মিথ্যে হলে ও তোকে আমি, বাসি অনেক ভালো।
স্বপ্ন তুই যাস না ছেড়ে, নিঃস্ব করে আমাকে..!
তোর জন্যে বেচে আছি, অশ্রুহীনা দু'চোখে ।।

হারিয়ে গেল মন পাখিটা

হারিয়ে গেল মন পাখিটা.....
কবি কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
লাল নীল মিশ্রিত সাথে দূসর কালো আমার সেই ছোট্ট পাখিটা। খুব চঞ্চল ও আমার পছন্দের। যাক খুব একটা বেশি ভালোবাসতাম বলে পাখিটারে, তাই আদর করে নাম রেখেছি দোস্ত। দোস্ত আমার কথাই গলা মিলিয়ে বলতে শিখেছে। খুব হাসি খুশিতে গল্প আর ঘুরাঘুরিতে দিন কেটে যাচ্ছিল দুজনার। তবে ভুল করে, কোন সময় ওই দোস্তটারে খাঁচায় বন্দি রাখি নি। উন্মুক্ত করে দিয়েছি তাকে, ভেবেছিলাম ও তো কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না। মানে বিশ্বাস করেছিলাম কেননা যাকে স্বাধীন ভাবে উড়তে দেওয়া যায় সে তো কখনো ফেলে চলে যায় না। খুব ভালবাসতাম না শুধু খুব বিশ্বাস ও করতাম। এমন বিশ্বাস মনে হয় করতাম যে, নিজেকে ও কখনো তেমন বিশ্বাস করতাম না। যাক সে ও তো আমাকে সমান বিশ্বাস করত। ভেবেছিলাম সে পাখি দোস্তটাকে সঙ্গী করে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিব! কিন্তু হঠাৎ আসল কাল বৈশাখী ঝড়, যা ভেঙ্গে দিল আমার সব সাজানো স্বপ্ন। কোত্থেকে ভিন্ন এক পাখি এসে কেড়ে নিয়ে গেল আমার স্বপ্নিল পাখিটারে। কৃত্রিম অকৃত্রিম অনেক বুঝিয়েছি কোন কাজ হয় নি, কারণ তার কাছ হতে কোন সাড়া পাই নি। তবে কি আমি ভুলে ছিলাম? যাক তা না হয় ছিলাম, তাই হারিয়েছি সব । নিজের ভুলটা বুঝতে পেরে হয়ত সব অতীত স্মৃতি গুলো মুছতে চলেছি, কারণ সুখের জন্যে চলে গেছিস তাই করি আর বারণ। কিন্তু কেন? মগ ডালে বসে মাঝে মাঝে উকি দিয়ে আমাকে, মনে করিয়ে দিচ্ছে মুছে ফেলা পুরাতন স্মৃতি........
" দিয়েছিস বেদনা, ঝরাচ্ছিস কান্না,
আমি নিরুপায়, আমি অসহায়।"

স্মৃতির প্রথম পাতা

স্মৃতির প্রথম পাতা......
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
>>>ম্যাজিশিয়ান কাজী<<<
জানি সত্য ছিল না তোমার সব দেখানো আশ্বাস,
যদি ও দূরে এসেছি তবে ভাঙ্গতে পারিনি বিশ্বাস।
আধার কালো,
লাগে ভালো,
তবে ছাড়িনি নিশ্বাস।
স্বপ্ন ছিল তোমায় নিয়ে,
এলোমেলোতে হারিয়ে যাবো!
কিছু স্বপ্ন ছিল, তা হারিয়ে গেলো
জীবন করে দিয়ে এলোমেলো।
স্বপ্ন ছিল তোমায় নিয়ে দূর অজান্তে হারিয়ে যাবো,
হারিয়ে যাবো,
হারিয়ে যাবো।
কল্পনা ছিল সব মিথ্যে,
ছেড়ে চলে যাবে না দূরে তা
না বলেও পারতে।
যাক বলো নি তাতে কি?
বুঝতে আমি পেরেছি,
তারপর বিশ্বাস করে তোমায়
বড় ভুলটা করেছি!
[চলবে ]

হায়রে আমি

 হায়রে আমি
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
চক্ষুতে দেখে ও যারা অন্ধ হয় সে আমি
মুখে বাক থেকে যারা বোবা এই আমি,
কারণ আমার মনের চোখে আর দেখি না
আমার মনের কথা আর ফিরে আসে না।
বিষাদগ্রস্ত এই হ্রদয় এখন কাঁদতে জানে,
তবে পিছনে ফিরে দেখি বাকিরা হাসছে
তাও আমার অবহেলাকে ঠাট্টা করে।
আমি এক ক্লান্ত হিরো তবে আজ পুড়ে কাঠ,
দুঃখ অশ্রুত ঘেরা আমার হ্রদয় চৌকাঠ।

শেষ কান্না

শেষ কান্না 
 কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
উজান-ভাটার ফেরী, চলে জীবন তরী,
ম্যাজিশিয়ান তোর ফেরার সময় হয়েছে নেই তো দেরী।
শুরু কর যাত্রা এতে যদিও দুর্গম পথ,
জানি এতে বিপদরাশি আছে শতে শত।
বসে থেকে লাভ কি বল দূরদেশীয় পথিক?
স্রোত কম তবু কাজের তাল রয়েছে অধিক।
তার পরে রং পাল্টাবি না ম্যাজিশিয়ান কাজী,
ওদের যত জয় যাত্রা সব থাকবে বা আজি।
যাত্রার মাঝে নেই বিরতি যদিও মরুর যাত্রা,
বিশ্রামের ঘোর নেশায় কেটে লাগাবি না আলকাতরা।
মূল্যহীন মানুষের হবে রুপান্তিক রুপ,
ওরা যারা আসল ছিল তারা আজ নিশ্চুপ।
বলতে গেলে দুনিয়া নয় মানুষ পাল্টে গেছে,
দুনিয়াবি লোভ পাপ হয়েছে, স্মৃতি সব মুছে।
ওদের দলে গিয়ে নিজেকে নিজে করিস না ধ্বংস,
ধ্বংসেরও ধ্বংস আছে যেদিন আসবে বিধ্বংস।
বিধাতার সবারে শক্তি দে, তবে দিয়েছে আগে বিবেক,
শক্তির যত রুপ লালসা ইচ্ছে সব করিয়ে দেখ।
তার পর যেদিন দম ফুরাবে হিসাব নিবে তার,
যত দিয়েছে সব নিয়েছিস করেছিস কেন
তার অপব্যবহার।
সেদিন হয় ধন হারাবি করবি কি আর বল?
সময় থাকতে আস ফিরিয়ে আগের গতিক চল।
লোভী জীবন তুচ্ছ করে দেখ আশার আলো,
আপন করিতে মনের স্বপ্ন, জ্বালাও প্রশান্তির বাতি জ্বালো।

সবই তুই

>>>>>>সবই তুই<<<<<<<
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
(>ম্যাজিশিয়ান কাজী<)
চেয়েছিলাম এক থাকতে তবে পারি নি তোর জন্যে,
জানি তুঈ আজ চলে গেলে আমায় চেনা ফাঁকি দিয়ে।
হয়ত আজ আমি আবার একা সেই প্রথমা আগের মত,
তবে দুই ধারে দুই পৃথক আছে তোর হওয়ার মাঝে।
আগে হয়ত একলা ছিলাম নিজের ছোট চাওয়ার আশায়,
তবে আমি দুঃখহর একলা হ্রদয় তোরে হারা বেদনার্তে।
জানি এসেছি একা যাবই একা মাঝে কিছু স্মৃতি,
সে স্মৃতির মাঝেও আবার দুঃখ ভরা বিশাল একটা......।
জানি আমি বুঝি কম চাই না বেশি কিছু বুঝতে,
আপন করে পর করেছিস অশ্রু আমার ফেলাতে।
আলো ছাড়া আধার হয়না ছায়া ছাড়া মানুষ,
জানি তুই হ্রদয় হীনা আমার কষ্ট কি তুই বুঝিস।
আমি একা ভাল আছি ছিঁড়ে হ্রদয়ে জমা তোরই কথা ,
ডায়েরীতে আজ মুছতে গেলাম খোঁজে তোর পৃষ্টা।

শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৬

বিপদে নাও সরিয়ে

...........বিপদে নাও সরিয়ে,,,,,,,,,,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
খোদা এই আর্তনাদধ্বনি মুখর ফরিয়াদ একটু শোন,
জানি মোরা গোনাহগার গোনাতে লিপ্ত ছিলাম যেন!
নেপোলিয়ন আজ বিপদেরগন্ধে ভরা হয়েছে মরণগিরি,
কর মোদের ক্ষমা, নাও বিপদ থেকে মোদের ফিরি।
পারছি না আর সইতে শাস্তির যন্ত্রণা আর্তচিৎকার,
কর মোদের ক্ষমা তুমি পক্ষ নিলাম তোমার মহিমার।
তোমারি ভুলে গিয়ে মোরা নিজেকে বিলিয়ে করেছি অন্যায় পাপাচার,
শাস্তিতে পেয়েছি মোরা ভূকম্পিত আর হারিয়েছি প্রিয়তম হাজার হাজার।
আর সহ্য হয় না শিশু হারা মায়ের অশ্রু ঝরানো ক্রন্দন,
মায়ার সাগর তোমার করুনায় ভূমিতে দাও পূণ-বন্ধন।

পুরাতন ফলক

ম্যাজিশিয়ান সাহিত্যের ছিন্ন পাতা....
,,,,,,,পুরাতন ফলক,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
>>>মাঝে মাঝে এমন কিছু কথা মনে পড়ে যায় যা নিজেকে আবারো ফিরিয়ে নিয়ে যায় অতীতের দিকে। আমাদের কোচিং-এ সবার প্রিয় বান্ধবী রিবা (নামের প্রতিচ্ছায়া)। সে খুব দুরন্তপনা ও লেখাপড়ায় ও মেধাবী ছিল। যার কারণে সবাই তার সাথে মজা করত,আর সেও সবার সাথে খুব হাসিখুশিতে মেতে থাকত প্রতিটি মুহুর্ত ।সে দিন খোকন কুমার স্যারের কোচিং এর কথা......
স্যার কোচিং এর পাঠ দানে রসায়ন বিজ্ঞানের অম্লতার পাঠ নেওয়ার প্রসঙ্গক্রমে বলেন,প্রতিটি এসিডের ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আছে।আর এই ছাড়া আরো অনেক কিছু প্রসংঙ্গ এনেছে।কিন্তু স্যারের কথার এই ফাকে রিবা বলে উঠল,আচ্ছা স্যার নাকের সর্দিও কি এসিড কারণ ওটার যে একটা স্বাদ আছে।চমকে গেল সবাই...... তার কথা শুনে আমি হঠাৎ মাঝখান থেকে বলে উঠলাম,কিরে দোস্ত তুই কি সর্দিকপ খেয়ে দেখেছিস নাকি!!!!
সেও হাসি মুখে বলে উঠল, কেন!!! আমরা সবাই খায় না???[সে ছোট বেলার কথাটা বুঝাতে চেয়েছে, কিন্তু তার এই কথাটা বুঝিয়ে দেওয়ার আগে ]......সবাই অট্টহাসি দিয়ে বলে উঠল, ছি ছি ছি আমরা এই সব খায় না!!!শুধু তুমি খাও যে।এই কথা শুনে সে খুব লজ্জা পেল,আর সবাই হো হো হো করে হাসতে লাগল।সবাইকে মজা দিতে গিয়ে রিবা নিজে লজ্জা পেলেও সবাই ঠিকই মজা পেয়েছ। তবে তার এই কথাটা মনে পড়েলে আজও আমার হাসি পায়।আর হাসতে হাসতে স্মৃতির পাতা হয়ত বন্ধ করে রাখি আর খুব মিস করি ফেলে আসা পুরাণ দিন গুলোকে।Miss U নলেজ সেন্টার ;

হোসেন মাইজ্জা

~~~~~হোসেন মাইজ্জা
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
আমাদের সেই হোসেন মাইজ্জা,
থাকে সদাই টিপটাপ সাইজ্জা।
হাসি মুখে কথা বলে সকলের মাঝে,
কথাই নয় প্রমাণ দেয় কাজে।
ছোট থেকে অন্য রকম ছিলো মোদের গাঁয়ে,
কাঁধে ব্যাগ নিয়ে চলত মাথায় ক্যাপ দিয়ে।
দিনের পর দিন যায় ভিন্ন ভিন্ন সাঝে,
কথা বলে হর হর আমাদের মাঝে।
তার সাথে কাটাতে চাই সদাই মন,
হাস্যিজ্জল থাকুক উনাত সারাটি জীবন।

হারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়

>>>><হারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ><<<<<
........কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি যাই জ্ঞান আহরনে,
সে জ্ঞান আলোক ভেসে ছড়াই এই ভুবনে।
তুমি হলে শিক্ষিত জাতি গড়ার সেই কারিগর,
তোমার স্বপ্ন আলোক বিভোর তুমিই শিক্ষার জাদুঘর।
চারিদিকে বিরাট ভবন মাঝে সবুজ মাঠ,
তুমি সুখের অট্টালিকা নয় তুমি জ্ঞানদাতার ঘাট।
আছো তুমি এক স্থানে ৫০ টা বছর দাড়িয়ে,
জ্ঞানের অনেক সাধক হল তোমায় বুকে নিয়ে।
কেউ শিক্ষক কেউ ডাক্তার কেউবা ইঞ্জিনিয়ার,
কেউ সমাজ সেবক আবার কেউবা জাতির অহংকার।
তোমায় কৃতজ্ঞতা জানাই আমি তুমি মোর জ্ঞানের আলয়,
তুমি মোর উৎস তুমি হার পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়।

আমিও ভালবাসি তোমাকে

আমিও ভালবাসি তোমাকে_____
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন।
>>>>>>>সাথিকে খুব ভালবাসত নিরব।তাই তার আশে পাশে সব সময় ঘুরে বেড়াতো তবে তার সাথে কথা বলার সাহস তার নেই।সাথিও বুঝতে পারতো নিরবের সব ভালবাসার ব্যাখ্যা । কেননা তাদের মাঝে প্রায় সময় চোখাচোখি হত,মাঝে মাঝে নিরব সাথিকে দেখে হা করে দেখে থাকত।এই সবের মাঝে আস্তে আস্তে সাথিও নিরবকে ভালবেসে ফেলেছে।তাই তার কর্ম কান্ড দেখে মাঝে মধ্যে মুচকি হাসি উপহার দিত।তাদের এই হাসা হাসিতে কোন প্রকার বেজাল ছিল না।তাই এক দিন নিরব মনের জোর নিয়ে সাথির কাছে একটা চিটি লিখল,"যাতে লেখা ছিল আমি তোমাকে মন প্রাণ ভরে ভালবাসি এতে কোন সন্দেহ নেই আর তুমি যদি আমাকে ভালবাস আজকের মধ্যে এর উত্তরটা দাও।শুধু মুখে একবার হ্যা বললে হবে।কিন্ত প্রায় ২ ঘন্টা দুইজন দুইজনের দিকে চেয়েছিল।আর নিরব অনেক বার ওকে হ্যা কিংবা না কিছু বলার জন্যে বলেছে তবে সাথি কিছু বলে নি শুধু মুচকি মুচকি হেসে যাচ্ছে।তার পরে নিরব হতাস হয়ে মুচকি হাসিকে উপহাস সরুপ নিয়ে চলে গেল।পরে তাদের প্রায় ৭ টা দিন দেখা হল না। ঠিক সাত দিনের মাথায় সাথি খবর নিতে গেল নিরবের বাসায়, তবে সেখানে গিয়ে খবর পেল সাত দিন আগে.......
!
!
!
!
!
!
!
নিরব আত্মহত্যা করে মারা যাই। তখন কান্নার স্রোতধারা নিয়ে নিরবের কবরের পাশে গিয়ে একটা চিটি গুঁজে দেই যাতে লেখা ছিল,"সেদিন তুমি কি বলেছিলে তা আমি শুনি নি কারণ আমি কানে শুনি না আর তোমার চিটি পড়ে হ্যা কথাটি কোন কিছুতে বলতে পারি নি কারণ আমি বোবা ছিলাম। যাক ঘরে গিয়ে আমার সবচেয়ে পছন্দের ডায়েরীর পাতা ছিঁড়ে এই প্রথম তোমাকে একটা কথা জানাতে চাই আমিও ভালবাসি তোমাকে।"
:::::®সমাপ্ত®:::::

একুশ তুমি কি???

একুশ তুমি কি???
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন।
একুশ তুমি চমকিয়ে দিলে শুধু কি আমায়?
না-তো পুরো বিশ্বটা আমায় সম্ভাষণ জানাই।
একুশ তুমি শুধু রক্তে ভরা কি একটা সাগর?
না- তো আমি মাতৃ ভাষারই পরশ পাথর।
একুশ তুমি কৃষ্ণ-চূড়ার পাপড়ি ঝরা কোন প্রান্তর?
না-তো আমি ভাষার প্রেমে পাগল এক অন্তর।
একুশ তুমি মায়ের আহাজারি আর অশ্রু ভরা কি নয়ন?
না-তো মাতৃভাষাকে ঘিরে রক্তের এক কানন।
একুশ তুমি রক্তে রাঙ্গানো ফেব্রুয়ারির একটা দিন?
রাষ্ট্র ভাষা বাংলা আমার বাজিয়েছি সেই বীন।
একুশ তুমি শত মায়ের মানিক ঝরিয়েছিলে কি অকাল?
না-তো এই এক পুষ্প ভরা মাতৃভাষার সকাল।

মাথায় রেখেছি তোলে

>>>>>>><মাথায় রেখেছি তোলে><<<<<<<<<
কাজী মোহাম্মাদ শিহাবুদ্দীন
দিন দুপুরে করে ডাকাতি কাক চিলের দল,
তাদের
প্রতি রুখে দাঁড়াতে আইরে এগিয়ে চল।
রাজনীতির নামে যারা করে অনেক
দুর্নীতি,
তাদের জন্য দেশটার আজ হল এত অবনতি।
অনেক মায়ের বুকটা তারা করে দেয়
খালি,
এই সব কথা আমরা কেন এত সহজে ভুলি।
প্রশ্ন করি ওরে ও বাঙ্গালির জাতি!
এই কি তোর সেই করা রাজনীতি?
হাঙ্গামা আর মারামারিতে দেশ
থাকে উত্তাল,
মাঝে মাঝে দশ বারটা লাগাতার হরতাল।
কত ভাইয়ের রক্তে গড়া এই বাংলার
প্রান্তর,
এই দেখে সে কম্পিত হয় সকলেরি অন্তর।
তবু ক দিন বাদে আমরা যাই সব ভুলি,
অবশেষে মোরা কেন তাদের মাথায়
তুলি?

স্বাধীন ছিল মনে

>>>>>>>>><স্বাধীন ছিল মনে><<<<<<<<<
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
মাগো মোরা সেদিন অল্প ছিলাম-
গল্প ছিল এই মনে,

সেই গল্পকে সাহস করলাম -
বিজয়ের আন্দোলনে।
মুক্তি করতে এই দেশটাকে -
ঝাঁপিয়ে মুক্তি দল,
দূসর দানব আসুক যত -
মোদের আছে বল।
মা তোর রক্ত কান্না ঝরছে -
ঝরুক আছে যত,
মুক্তি কাঙ্গাল এক হয়েছে-
হবেনা তবু নত।
জননী মুক্তির জন্য যারা-
বিলিছে নিজের প্রান,
তারাই ত্যাগী তারাই বিদ্রোহী -
তারাই মহীয়ান।
দেশ বাঁচাতে যুদ্ধে মোরা শহীদ-
হতে পারি নি কেন?
এমন সময় জন্মাই নি মোদের-
ভাগ্যে ছিল না যেন।

কে ছিল তোর আপন

>>>>>>>কে ছিল তোর আপন<<<<<<<<<<
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
অনন্তকাল ছিলাম আমি যার অপেক্ষায় ,
জানি না গো সে আছে কিবা কোথায়।
আমি আজো আছি তার অপেক্ষায়,
একদিন সে আসবে নিয়ে যেতে আমায়।
কি এমন করেছি তাই শান্তি পাব যে হেথায়,
তব সে ঠিক সময়ে এসে নিয়ে যাবে আমায়।
তর তর কাঁপবে সেদিন আমার এই দেহ,
পাশে তখন থাকবেরে আমার আপন কেহ।
কাঁদিতে চেয়ে ও সেদিন পারিবনা আর কাঁদিতে,
আটকিয়ে পারবেনা রাখিতে চেয়ে আমায় বাধিতে।
জানি এই সেই সময় বিদায় নিব একটু পর আমি,
সেদিনি আমার জমানো পুণ্য হবে সবচেয়ে বড় দামি।
যদি করবি পুণ্য জমা তুই হবে তা তোর লাগবে কাজে তখন,
মৃত্যু কাছে আসলে তুই বুঝবি তখন কে ছিল তোর আপন।

তোর ইচ্ছে ছিল সবি

>>>>>>>তোর ইচ্ছে ছিল সবি<<<<<<
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
দূরে চলে গেছিস তাই ফিরতে আর বলছিনা,
কাছে পেয়েও তোকে ফিরাতে আর চাচ্ছি না।
যাওয়ার সময় তুই গিয়েছিস তোর ইচ্ছে ছিল সবি,
এখনো তোর ইচ্ছা হলে তুই ফিরে আসবি।
দূরে তুই চলে গিয়ে দোষটা দিলি আমায়,
তোর ভুলের মাসুল গুনতে হারিয়ে তোমায়।
জানি তুই আর কোন দিন ফিরে আর আসবি না,
তাই তোকে আমি নিজে ফিরতে আর বলছি না।
জানতাম আমি তুই আগের মত নেই একা নেই,
সব হারিয়ে থাকবি কেন এই জগন্যের অপেক্ষায়।
দূরে থেকে তোকে নিজে হারিয়েছি তা জানি,
তোর খোঁজে তাই আখিতে আমার ঝরে শোকের পানি।
সুখে থাকতে তুই গিয়েছিস তোর ইচ্ছার তরে,
দোয়া করি সুখি থেকো থাকিস তব যত দূরে।

জয়ের নেশায় আজ বাঙ্গালির

জয়ের নেশায় আজ বাঙ্গালির
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
জয়ের নেশায় বাঙ্গালি আজ জেগেছে গহিন,
জয়ের সূর্যটা তাই রক্ত মেখে হয়েছে রঙ্গিন।
জয় দিয়ে জন্ম যার সে এই বাংলাদেশ,
দূসর শক্তি হার মানাব করব তাদের শেষ।
ভয় পাই নি তবে ভয় পাব কেন?
বিভীষিকার পরাজয় আজ যেন।
মোরা উদ্দাম ছিলাম মোরা ঝঞ্জার,
প্রমাণ মিলেছে দেখ স্বাধীনতার।
চাই না ক্ষতি এই দেশের মোরা,
হউক না যত মোদের রক্ত ঝরা।
দেশ রক্ষা করব মোরা করিব সব দুঃখ অবশান,
ক্ষতি হতে দেব না দেশ যত দিন আছে এই দেহ প্রাণ

মন করে উরু উরু

>>>><<< মন করে উরু উরু>>><<<<<<
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
লিখতে বসে আন্মনা হয়ে আমি বসলাম,
কি আর লিখব তাই বসে বসে ভাবলাম।
ক্ষনিক বাদে ভ্রমর এসে বলল আমায় ওরে ও বাঙালি,
রক্ত গড়া মাটি দিয়ে আজো নিজেকে তুই রাঙ্গালী?
ভাবতে ভাল লাগে তাই বসে আমি ভাবছিলাম,
গুণগুণানী ভ্রমর কথা কিছুই কি আর পেলাম
অবশেষে বুঝতে পেলাম খাটিয়ে মোর মাথা,
ভ্রমর এসে যে বলল আমায় একাত্তরের কথা।
রক্ত গড়া এই বাংলা নামটি জয় দিয়ে শুরু,
সেই বাংলাকে শ্রদ্ধা করতে মন করছে উরু উরু।

তুই দিয়েছিস আড়ি

>><<<<<<{{{{{{তুই দিয়েছিস আড়ি}}}}}}>>>>>><<
_________ কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
সেদিন তুই রাগ করে দিয়েছিস মোরে আড়ি,
তোর জন্যে খুলেছি তাই কবিতার হাড়ি।
জানি তুই আমার সাথে রাগ করেছিস বিষণ,
করবি ও না কেন? কষ্ট দিচ্ছি তোকে যখন।
আসলে আমি প্রিয়কে ভাই ইচ্ছে করে কাঁদাই,
যাকে কাঁদাই তাকে আমি হাসির জোয়ারে ভাসাই।
জানি তুই রাগ করেছিস , আর করবি ও না কেন?
সদাই আমি তোর ক্ষতি করে বেরাচ্ছি যেন।
আমার বন্ধুত্ব রাখতে তুই হয়েছিস আজি নিঃস্ব,
এই ঋন স্বীকার করে যাব যতদিন থাকবে এই বিশ্ব।
তোকে আমি বাধা দিয়েছি মানা করেছি কতক,
নিজের ইচ্ছাঈ বন্ধু গড়তে চেয়েছিস তুই যতক।
তবে মোর নিজের ইচ্ছাতেও নয়,
তোকে বিপদে বাঁচাতে গিয়ে তারা স্বীকার হয়।
যদি তোর ইচ্ছে করে ডাকব কাছে তাদের,
তাদের ইচ্ছা পূর্ণ হবে ক্ষতি হবে মোদের।
আমি হতবাগা তোর উপকার করেও করিনি একটু খানি,
তাইতো নিজে মেনে নিলাম হতশা,ঘৃনা আর গ্লানি।
ভাল বন্ধু থে পারিনি বলে আমি নিজে দোষী,
আমায় ছাড়া থাকবি হয়ত সবচেয়ে খুশি।
তোদের মাঝে উঠুক ফুটে সোনালি রোদের হাসি,
তোদের থেকে দূরে গিয়ে আমি সর্বনাশী
কষ্ট মনে তোর রেখেছিস যত জমা,
আশা করি তুই আমাকে করে দিবি ক্ষমা।
এমন নিঃকৃষ্ট বন্ধু আমি কথা বলবার মত নয়,
সেদিন তুই বলিস কথা যেদিন তোর ইচ্ছে হয়।
যত ভুল করেছি আমি এই পোড়া মুখে কিছু বলবার নাই,
তাই এইটুকুতে আমি তোকে বিদায়ী বচন জানাই।

কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি

ম্যাজিশিয়ান সাহিত্যের ছিন্ন পাতা.....
"কান্নাটা আমিও থামাতে পারি নি,,,,,"
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন.
'''''''''''''''''সেদিন দুপুরবেলা হাত মুখ ধুয়ে
খেতে যাব, হঠাৎ
কে যেন মৌবাইল রিংটা বাজিয়ে
দিল।
মানে মাথাটা খারাপ হয়ে
যাওয়ারি কথা।
কারণটা হল সে যে হউক না কেন,
খাওয়ার সময়
বিরক্ত করা এটা কারো ভাল না
লাগারি কথা!
যাজ্ঞে দেখি খোকা। প্রথম বার হয়ত
রিসিভ করি নি,
তবে শেষ বার রিসিভ করা মাত্র ওর
কথা শুরু
করার আগে বলে উঠি....
:ওরে খোকা! আর
সময়
পেলি না কল করার,মাত্র খেতে
বসেছি।
অপর দিক
দিক থেকে বলে উঠে...
:মা ওমা এখন একটু
মা বলে ডাকতে দাও না প্লিজ? তার
পর
হতে আর কখনো মা বলে হয়ত ডাকতে
পারব না।
:কেন কি হয়েছে?
: মা আগুন তো প্রায়
আমার
কাছে চলে এসেছে, আর হয়ত পাঁচটা
মিনিট আছি এই
পর্যন্ত মা একটু কথা বলতে দে এর পরে
তোর
বেশি কথা বলা ছেলেটা একদম
নিঃশব্দ হয়ে যাবে।
কি বলছিস বাবা এইসব তোর কি
হয়েছে?
মা,মাগো আমরা শেষ মা,নিচ তলায়
বিদুৎ
শর্টে পুরো বিল্ডিং এ আগুন লেগে
গেছে মা। নিচের
সবাই হয়ত চায় নইতো বা কয়লা হয়ে
গেছে আর
কয়েকটা মিনিট কয়েকটা সেকেন্ড
পরে মা তোর
খোকাকে পাবি তাদের মাঝে। ওমা
বাবাকে বল
না আমাকে নিতে আসতে,ওমা তুই আয়
না হাজার লোকের মাঝে তোকে এক
পলক যদি দেখি।
তবে আমার মন শান্তি পাবে।
আচ্ছা মা তোরা কি কয়লা থেকে
আমার
লাশটা শনাক্ত করতে পারবি,দেখ
মা আমি আমার গলায় যে তাবিজটা
ছিল
তা মুখের ভেতরে রাখব, তাই যদি
চিনতে পারিস
আমাকে আমাদের আম বাগানে করব
দিস
যেখানে বসে শুধু আম
খেয়ে খেয়ে সারা বেলা কাটাতাম
সেই ছোট কাল
থেকে।আচ্ছা মা সেই খানে গিয়ে
আমারে আগের
মত পিটিয়ে পিটিয়ে ভাত খেতে
আনবি তো? মা আর
কোন দিন তোর কথা না শুনে কোথাও
যাব না,
আচ্ছা মা তুই আজ আমাকে আসতে
মানা করিস
নাই কেন? প্রতি বার তো তোর কথা
না শুনে ছোট
ছোট বিপদে পড়ি তবে আজ কেন তোর
মানা অমান্য
করা ছাড়া বিপদে পড়লাম। ওমা দেখ
না আমাদের রুমের দরজা পর্যন্ত
এসে গেছে মা হয়ত আর কয়েকটা
সেকেন্ড
পরে আমার গায়ে আগুন লাগবে আর
আমি জলে পুরে মরব।মা দেখ তোর
ছেলে কতটা সাহসী হয়ে গেছে
দেখনা?
আগে যে ছেলে একটা মাইর খাওয়ার
ভয়ে পালাত সে আজ মৃত্যুকে সামনে
রেখে মরার
প্রস্তুতি নিচ্ছে।মা ওমা, বাবার
অফিসে খবরটা হয়ত এতক্ষনে চলে
গেছে আর
এতক্ষনে বাবাও নিশ্চয় চলে এসেছে।
আচ্ছা মা এক কাজ করনা তুই ও চলে আয়
না?
যদি শত মানুষের মাঝে তোকে এক পলক
দেখে নিতে পারি তবে আমার মরে
শান্তি লাগবে!
মাগো কি আসবি? মা ওমা! কি রেগে
গেলি নাকি?
কথা বলছিস না কেন ওমা একটু কথা বল
না,।
[অশ্রুঝরা ঝরতে থাকে আর মাকে করুণ
সুরে মাকে ডাকতে থাকে খোকা আর
সে কি জানত
তার মা বাকশক্তি হারিয়েছে তাই
তাকে উত্তর
দেওয়ার চেষ্টা করেও উত্তর দিতে
পারছেনা।]
কয়েকটা সেকেন্ড পরে খোকা
চিৎকার
করে বলে ওঠে মা আগুন আগুন
পোড়ে যাচ্ছি বলে মোবাইলটা পড়ে
যার আর সংযোগ
দেওয়া সম্ভব হয়নি।আর তখনি তার মাও
জ্ঞান
হারায়।আসলে আমারএই কল্পনার
কাহিনীটা আংশিক রুপক হলেও
পুরোটা বাস্তব
খন্ড চিত্র, এটি মূলত আশুলিয়ার
তাজনিন
ফ্যাশনের এক শ্রমিকের ঘটনা অবলম্বনে
লেখা।এই
ঘটনা সহ রানা প্লাজা ধসের মাঝে ও
বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের একটা ব্রিগেড
ভেঙ্গে অনেক সাধারণ
মানুষ ও শ্রমিকের মৃত্যুতে যারা প্রান
হারিয়েছে তাদের
জন্যে সারা দেশবাসী গভীর ভাবে
শুকাহত।
হে বন্ধুরা আমি লাইক চাই না কমেন্ট চাই
না ইচ্ছা হলে দিও তবে একটু নিজ নিজ
টাইমলাইনে শেয়ার করে দেওয়ার অনুরোধ রইল।
-----------"ম্যাজিশিয়ান কাজী "

বিদায়ী স্মৃতির মেলা

----বিদায়ী স্মৃতির মেলা------
>)))))) কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন((((((<
অশ্রু শিক্ত নয় গো কাজী সেই বিদায়ীবেলা,
বন্ধু তুকে করি স্মরণ আমার সারা বেলা।
মনে পড়ে যাই এখন সেই অতীত স্মৃতি মেলা,
বান্দরবন আর রাঙ্গামাটির এক সাথের পথ
চলা।
খুব খারাপ লেগেছিল বন্ধু তুকে বিধায় দিতে,
বিদায় দিয়েছি আমি তবে মুখের চাপা হাসিতে।
সাফলতা জন্যে গিয়েছিস তাই করি নি মানা,
স্বপ্ন পূরণ হউক তোর করি এই কামনা।
যখন তুই চলে গেলি মনে পড়ে তোর যত কথা,
স্মৃতির পাতায় জং ধরেছে বেড়েছে মনের আকুলতা।
জানি তুই ফিরবি দেশে ফিরবি ক দিন পরে,
জমিয়ে আড্ডা মারব মোরা গানের সুরে সুরে।

তুই অদ্ভুত

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, তুই অদ্ভুত,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
--------------------------
তুই কি সেই ভুত?
যাকে দেখে আমার লাগে অদ্ভুত।
কোন কিছু না দেখে তো আর বলছি না,
কোন কারণ ছাড়া তো আর জ্বলছি না।
জানলে হয়ত জানতে পারিস তোর কোথায় আছে মিল,
দূরের ঐ আকাশটার মন আজি নীল।
নীলে বিষাদ মনটা তোর নেই-ভাল নেই, 

পাশে রাখতে যাকে চেয়েছিস সেই কাছে নেই।
অদ্ভুত তুই আজি বিষণ অদ্ভুত,
তোর জন্যে এই আমি তৈলচিত্রে ভুত।
আপন জীবন সাজাও ভুল শোধাও আজি,
তোর সাফল্য কামনা করে ম্যাজিশিয়ান কাজী।

আজ মন উরু উরু

,,,,,,,,,,,,আজ মন উরু উরু,,,,,,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মাদ শিহাবুদ্দীন
আজ মনটা উরু উরু,
এখন হল বৃষ্টি শুরু।
মনের মাঝে উতাল পাতাল ঢেউ,
কাছে থাকার মত নাই আমার কেউ।
সপ্ন ছিল রাজ কুমারী কাছে আসবে যবে,
ময়ুর পাখনা সে যে আমার হাতে তুলে দিবে।
হাসি মুখে করি বরণ স্মৃতিরো পাতা,
তাই বসে লেখেছি আমি তার কবিতা।

কবিদের স্মৃতি কথা

৺-----------কবিদের স্মৃতি কথা
  কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
যাব আমি অনেক দূরে, আসব কি আর ফিরে।
আসব আবার ফিরে নজরুলের সেই কান্ডারী হয়ে,
আসব আবার হেথায় কবি গুরুর সোনার তরী নিয়ে।
থাকব আমি জসিম কবির রাখাল ছেলের ভীরে,
নইতো বা মধু কবির সতত নদীর তীরে।
হয়ত আবার আসব আমি সুকান্তের হিমালয় পর্বত দিয়ে,
অথবা আমি বেগম রোকেয়ার নারীর অধিকার নিয়ে।
ফিরে আসব সেই জীবনান্দের ধান সিঁড়ির তীরে,
হয়ত বা কালিপ্রসন্নের বাঁশ বাগানের নীরে।
আসলে হয়ত বাওয়াল সেজে লালনের আরশ নগরে,
নইতো বা হাসান রাজার সেই রাজকিয় আদরে।
যেথায় আমি যায় গো চলে তা হউক না পুষ্প কেয়ায়,
ফিরে আসব আমি আমার মাতৃভূমির মায়ায়।

আশা

আশা
কাজী মোহাম্মাদ শিহাবুদ্দীন
আশা ছিল মনে আমার হব বাংলার কবি,
সারা জীবন গেয়ে যাব বাঙ্গালীদের দাবি।
আশা আমার আছে মনে পাখীর মত উড়তে,
তারা ভরা এই আকাশ পানে সারা জীবন ঘুরতে।
সকাল বেলা যেমন সূর্য উঠে নীল আকাশটা রাঙ্গিয়ে,
আশা আমার প্রতিভা গুলো উঠুক তেমন ফুটিয়ে।
মেঘে ঘেরা সূর্যটা যেমন আড়াল থেকে হাসে,
তেমনি আমার আশা গুলো জ্বলসে উঠুক ভেসে।
মনের সকল আশা নিয়ে গাতব আশার মালা,
বাংলাদেশের রুপটা দেখে কাটাই সারা বেলা।
বৃক্ষের মত শান্তশিষ্ট হবে কি আমার মন?
এই দেশটি গর্ব আমার সব চেয়ে বড় ধন।

ম্যাজিশিয়ান কাজী

,,,,,,,,,,,,,, ম্যাজিশিয়ান কাজী,,,,,,,,,,,,,,,
কাজী মোহাম্মদ শিহাবুদ্দীন
মঞ্চে যখন উঠতাম আমি বড় উপস্থাপক হতাম,
কবিতা আবৃতিতে আমি বড়ই ভাব নিতাম।
কৌতুকী অভিনয়ে আমি অভিনেতা ছিলাম,
এই করে মোর স্কুল জীবন পার করে এলাম।
শিক্ষা দানে প্রথম আমার কর্ম জীবন শুরু,
ছাত্রদের কাছে বনে গেলাম চরম শিক্ষাগুরু।
কলেজ কালে হাসির রাজ্যের রাজা হয়ে গেলাম,
অল্প সময়ে তাই তো আমি অনেক আপনা পেলাম।
হাসির বানে বাসতে গিয়ে পেলাম পরাজয়ের গ্লানি,
এইতো মোর ভুলের মাসুল তা আমি জানি।
অশ্রু ছেড়ে সে পরাজয় করেছি গো বরণ,
সাহিত্য চর্চায় শেষ করিব আমার সারা জীবন।
এই শিল্পকে ধরে রাখতে ধরলাম এক বাজি,
সেই আমি তোমাদেরি ম্যাজিশিয়ান কাজী।